ভয়াবহ হচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি, বাড়ছে মৃত্যুও

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৭৮ জন।  এর মধ্যে ২৩০ জনই ঢাকার।  আর ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ২৫৮ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।  আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৬ জন।

এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০ জনে।  তাদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৯৮৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগে রোগী ভর্তি রয়েছেন ১০৩ জন। 

বুধবার (২৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে ডেঙ্গু বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 
 
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৩ জন ডেঙ্গু রোগী।  তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ৭২১ জন।  আর ডেঙ্গুতে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 
ডেঙ্গু প্রকোপের এ সময়ে বাসাবাড়িতে অব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রে পানি জমতে না দেওয়াসহ দিনে ও রাতে মশারি টানানোর পরামর্শ বিশেজ্ঞদের। 
 
প্রতিবছর বর্ষাকালেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়।  ২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল। 
দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান।  তবে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯। 
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ওই বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। 
 
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ:
১। প্রচণ্ড জ্বর
২। তীব্র মাথাব্যথা
৩।  বমি
৪। শরীরে লাল র‍্যাশ ওঠা
৫। মাংসপেশীতে ব্যথা
৬। চোখের পেছনে ব্যথা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়:
১। মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করা।
২। ঘর ও আশপাশের যে কোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা যাতে এডিস মশার লাভা বিস্তার না করতে পারে। 
৩। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, কনটেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা; যাতে এডিস মশা বিস্তার না করতে পারে। 
৪। রাতে বা দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা।
৫। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্থাপন করা।
৬। মশা নিধনের ওষুধ, স্প্রে কিংবা কয়েল ব্যবহার করা।
৭। জানালাতে মশা প্রতিরোধক নেট ব্যবহার করা।
- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img