স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয় দেশে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তবে এর একদিন পরেই চট্টগ্রাম মহানগরীতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ ছাড়া অন্য টিকা দান বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে থেকে এই তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন এলাকায় মডার্নার টিকাদান চলছিল। আর উপজেলা পর্যায়ে দেয়া হচ্ছে সিনোফার্মের টিকা। শুধু সিটি করপোরেশনের টিকাদান কেন্দ্রগুলো নয়, সিভিল সার্জন কার্যালয় পরিচালিত জেনারেল হাসপাতালেও মডার্নার টিকা প্রয়োগ বন্ধ রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আজও মডার্নার কিছু টিকা দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী জানান, ‘মডার্নার টিকার মজুত শেষ। প্রয়োগ করার মতো কোনও টিকা আমাদের হাতে নেই। তাই বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) থেকে চসিকের সব টিকাদান কেন্দ্রে ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ রয়েছে। আজ শুধুমাত্র অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হচ্ছে।’
সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) থেকে মডার্না এবং সিনোফার্মের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ভ্যাকসিন আসলে শিগগিরই দ্বিতীয় ডোজ চালু করা হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যথারীতি চলবে। বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে সবাই টিকা নিতে পারবেন। যারা এসএমএস পাননি অথবা ডিলিট হয়ে গেছে তারা আগামী ২১, ২২ ও ২৩ আগস্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনোফার্মের ৫০ হাজারের মতো টিকা এখনও মজুত আছে। সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োগ করা হবে। মজুত টিকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে এসব টিকা প্রয়োগ করা হবে।’
তবে উপজেলা পর্যায়ে সিনোফার্মের টিকা দান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।