পরির অর্থের যোগানদাতাদের কাছে ডা. জাফরুল্লাহ’র ভ্যাকসিনের অর্থ দাবি

মাদক মামলায় পুলিশের রিমান্ডে থাকা চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। তার উচ্চাভিলাষী জীবন-যাপন, বিলাসবহুল গাড়ি, বিদেশে ট্যুর-এসব কীভাবে আসে, কারা দেয়, এসব নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। জানা গেছে, রিমান্ডে পরীমনি নিজেও তার পেছনে কারা অর্থ ঢালছিল সেসব ব্যক্তির নাম বলেছেন।

এরই মধ্যে পরীমনির সদস্যপদও স্থগিত করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। শনিবার (৭ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।

এদিকে পরীমনি এবং তার অর্থের জোগানদাতাদের বিষয়ে মুখ খুললেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরীমনিকে যেসব ব্যবসায়ী অর্থ দেন তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিনের অর্থ দাবি করেন তিনি।
শনিবার (৭ আগস্ট) ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টবিষয়ক এক সেমিনারে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে। একটা ভ্যাকসিন তৈরি করতে আধা ডলারের বেশি খরচ হয় না। এর জন্য ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু এই টাকা ব্যবসায়ীদের জন্য তেমন বড় কোনো বিষয় না।
তিনি বলেন, দেশে যারা ব্যবসায়ী আছেন, পরীমনির জন্য যারা বিনিয়োগ করে থাকেন তারা ইচ্ছে করলে সাত দিনের মধ্যে ৫০ কোটি টাকা জোগাড় করে দিতে পারেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের টার্গেট হওয়া উচিত ছয় মাসের মধ্যে নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি করা। কিউবা ও ইরান যেমন ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তেমনি বাংলাদেশ যদি চায় তাহলে রাশিয়া আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরাই কিউবার মতো ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব। তখন এর দাম পড়বে আধা ডলার।

তিনি বলেন, দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য আমি আগেও প্রস্তাব করেছি, আবারও করছি। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আজাদ, বিজন কুমার শীল আছেন। আরও দুই-চারজন যারা আছেন, তাদের নিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেশের সব নাগরিককে আপনি ব্যবহারের চেষ্টা করেন। কে আওয়ামী লীগ করে, কে বিএনপি করে- তা আপনার বিবেচ্য নয়। দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে প্রধানমন্ত্রীও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলেও জানান জাফরুল্লাহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অনুবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. বিজন কুমার শীল।
এর আগে, চিত্রনায়িকা পরীমনি ইস্যুতে মুখ খুলেছেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অঞ্জনা রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সন্ধ্যার পর মেয়েদের বের হওয়া ঠিক না। শুধু পরীমনির নয়, গোটা সমাজের নারীদের এটা মনে রাখা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘সে ঘরের মধ্যে কি করল সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। কিন্তু তার ব্যক্তিগত কোনো অপরাধ বা কর্মকাণ্ড যদি জনসম্মুখে চলে আসে তখনই শিল্পী সমিতির দেখার বিষয়।’.

অঞ্জনা বলেন, ‘পরীমনি বলেছে, শিল্পী সমিতি আমার পাশে নেই। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল। তাকে সেক্রেটারি চিঠি দিতে বলেছিলেন, কিন্তু সে দেয়নি। নিজে সংবাদ সম্মেলন করে অনেক ভুল তথ্য দিয়েছেন পরীমনি।’

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img