চট্টগ্রামে নির্মিত হচ্ছে আরও দুটি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো (আইসিডি)। অ্যাঙ্করেজ কনটেইনার্স ডিপো নামে একটি বন্দর থেকে আনুমানিক ১০ কিলোমিটার দূরে এবং বে লিঙ্ক কনটেইনার নামে অপরটি নির্মিত হচ্ছে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন এলাকায়, যেটা বন্দর থেকে আনুমানিক ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুটি আইসিডির নির্মাণ কাজ চলছে পুরোদমে। আগামী পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে আইসিডি দুটির উদ্বোধন হতে পারে। অবশ্য করোনা মহামারিতে শ্রমিক সংকটের কারণে মাঝে নির্মাণ কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বে লিঙ্ক কনটেইনার নামে আইসিডিটি নির্মাণ করছেন ঢাকার একটি টেক্সটাইল কোম্পানি এবং অ্যাঙ্করেজ কনটেইনার্স ডিপো নির্মাণ করছেন ফ্রান্সভিত্তিক শিপিং কোম্পানি সিএমএ-সিজিএম। ভূমি বাদে প্রায় একশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আইসিডি দুটির ধারণক্ষমতা হিসাব করা হচ্ছে প্রায় ১২ হাজার টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের) কনটেইনার।
জানা গেছে, দেশের শতভাগ রফতানি ও ৩৮টি আমদানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে এসব আইসিডি। তবে বন্দর ইয়ার্ডে জট নিরসনে গত ২৫ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক অফিস আদেশে বন্দরের সব ধরনের আমদানি পণ্যের কনটেইনার আইসিডিতে স্থানান্তর করতে আদেশ দেন।
এরপর প্রায় তিন হাজার আমদানি কনটেইনার আইসিডিতে স্থানান্তর হয়। আবার সিঙ্গাপুর ও কলম্বোর মতো ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোর অচলাবস্থার কারণে আইসিডিগুলোতে গত এক মাসের অধিক সময় ধরে রফতানি কনটেইনারের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) সূত্রে জানা গেছে, ১৯টি বেসরকারি আইসিডির ধারণক্ষমতা ৭৮ হাজার টিইইউস কনটেইনার। বর্তমানে আইসিডিগুলো আমদানি-রফতানি এবং খালি কনটেইনার মিলিয়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ পূর্ণ। নতুন আইসিডি দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে জট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারবে।
জানতে চাইলে বিকডা সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান বলেন, বর্তমানে ১৯ ডিপোর ধারণক্ষমতা ৭৮ হাজার টিইইউস কনটেইনার। নতুন দুটির মাধ্যমে আরও ১২ হাজারসহ মোট ধারণক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে ৯০ হাজারে। ফলে কনটেইনার জট কমবে।
পাশাপাশি রফতানি পণ্যের দ্রুত জাহাজীকরণ করা যাবে এবং আমদানি পণ্য দ্রুত ডেলিভারি নেয়া যাবে। যদিও তারা এখনো বিকডার সদস্যভুক্ত হয়নি। নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে বিকডার সদস্যভুক্ত হবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আইসিডি দুটি নির্মাণের জন্য বন্দর থেকে অনাপত্তি সনদ দেয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এগুলো বেসরকারি আইসিডির তালিকায় যুক্ত হবে।