গ্রামে এখনো কেউ করোনা টেস্ট করাতে চায় না। তবে টিকা নিয়ে মানুষের অহেতুক ভীতি কেটে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের ভালো চিকিৎসা, নিজে বাঁচতে ও অন্যদের সংক্রমিত না করতে করোনা টেস্ট করাটা জরুরি বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘মানুষের মাঝে টিকা নিয়ে অতীতে নানারকম ভীতি ছিল। টিকা নিলে কি না কি হয়ে যাবে। এখন সবাই সে ভীতি কাটালেও একটা সমস্যা এখনও আছে অনেকে পরীক্ষা করাতে চায় না। তাদের ধারণা টেস্ট করলে করোনা আছে শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে তার সঙ্গে কেউ মিশবে না, এই ভয়টা করে। কিন্তু এটাতো ঠিক নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, টেস্ট করলে তার যে চিকিৎসাটা হবে, সে যে ভালো হবে, সে অন্য কাউকে সংক্রমিত করবে না, সে নিজে বাঁচবে, অন্যকে বাঁচাবে। এ ধারণাটা মানুষের মধ্যে দিতে হবে। এটা আমাদের কর্মীরা যেখানে আছে তাদেরও বলে দেওয়া আছে। মানুষের কাছে এ বার্তাটা পৌঁছে দিতে হবে।
সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের টিকার ব্যাপারে যেখানে যা পাওয়া যাচ্ছে আমরা ক্রয় করছি। তার জন্য আলাদা টাকাও রাখা আছে। প্রয়োজনে আরও টাকা আমরা খরচ করবো। কিন্তু বাংলাদেশে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ যারা টিকা নিতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মোতাবেক সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।
সরকার প্রধানের মতে, ইতোমধ্যে আমাদের ১ কোটি ৮৭ লাখের কাছাকাছি টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে আমরা আরও টিকা দিচ্ছি। একেবারে গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। সেখানে সবাইকে যে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে তা না, তারা আইডি নিয়ে সরাসরি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ওখানেই নিতে পারবে, সেই ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি।
টিকা রেজিস্ট্রেশনসহ টিকাদান কার্যক্রমে মানুষকে সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি বলবো স্বেচ্ছাসেবক লীগের ছেলে-মেয়ে যে যেখানেই থাকুক, মানুষকে একটু সহযোগিতা করা, সাহায্য করা, যেটা আমরা অতীতেও করেছি এটা সবাই করবা। সবাই যাতে টিকাটা নিতে পারে।