জট নিরসনে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার স্থানান্তর হচ্ছে আইসিডিতে

করোনা সংক্রমণ রোধে শুক্রবার থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এ সময় কারখানা বন্ধ থাকায় বন্দর থেকে পণ্যের খালাস কমে যায়। তাতে বন্দরে কনটেইনার পণ্যের স্তুপ জমছিল। এ পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনার সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণে এনবিআরের হস্তক্ষেপ চেয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। বন্দরের ওই চিঠির পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করল এনবিআর।

চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমাতে সব ধরনের আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার ১৯টি বেসরকারি ডিপোতে সরিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রোববার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এ–সংক্রান্ত দাপ্তরিক আদেশ জারি করেছে এনবিআর।

বন্দরের কনটেইনার খালাসের ধীরগতি ও সম্ভাব্য জট নিরসনে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। গতকাল (শনিবার) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি চিঠি দেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। একই দিনে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রেট ফরোয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশন, বিকেএমইএ ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সে পাঠানো হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়, ঈদুল আজহা এবং কঠোর লকডাউনেও চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয় অর্থনীতির কথা চিন্তা করে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বন্দর থেকে পণ্য খালাস হচ্ছে না। ব্যবসায়ী কিংবা বন্দর ব্যবহারকারীদের কোনো উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না। এতে বন্দরে কনটেইনার বাড়তে শুরু করেছে।

রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চিঠিতে বন্দরে স্তুপ হওয়া কনটেইনার বেসরকারি ডিপোগুলোতে স্থানান্তরের আদেশ দেয়া হয়।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img