সরকার ঘোষিত লকডাউন সফল করতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকার দোকান, রেস্টুরেন্ট ও শপিং মলে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ২১৫ মামলায় ৬৩ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
রবিবার (২৫ জুলাই) নগরের ডবলমুরিং, সদরঘাট, পতেঙ্গা, ইপিজেড, বন্দর, হালিশহর, পাহাড়তলী, বায়েজিদ, আকবরশাহ, চকবাজার, বাকলিয়া, কর্ণফুলী, পাঁচলাইশ, খুলশী, চকবাজার, চান্দগাঁও, নিউমার্কেট ও নতুন ব্রিজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র ২১ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নগরীর বন্দর, পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন ২৪টি মামলায় মোট ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
চকবাজার, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ৮টি মামলায় ২ হাজার ৩শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
আকবরশাহ, বায়েজিদ, হালিশহর ও পাহাড়তলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন ও নূরজাহান আক্তার সাথী। এ সময় ২৪ টি মামলায় মোট ৬ হাজার ৮শ ৫০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
খুলশী, চাঁন্দগাও ও পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় ২২ টি মামলায় ১১ হাজার ১শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী ও খিন ওয়ানু চকবাজার, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৪ টি মামলায় ৪ হাজার ১শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
চান্দগাও, পাচলাইশ ও খুলশী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাজিব হোসেন ও প্লাবন কুমার বিশ্বাস ১০টি মামলায় ৩ হাজার ৮শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নতুনব্রীজ, মইজ্জারটেক এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার দাস ৮ টি মামলায় ৩৪০ টাকা অর্থদন্ড আদায় করেন।
বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাও, পাচলাইশ, হালিশহর, পাহাড়তলি, লালখান বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ১৩ টি মামলায় ২ হাজার ২শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।