চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডবলমুরিং থানার তালিকাভুক্ত আসামি গোলজার আলম প্রকাশ গোলজার হোসেন প্রকাশ পিস্তল গোলজারকে (৩৯) অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ জুলাই) রাতে ডবলমুরিং থানাধীন দাইয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হত্যাপ্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।
গোলজার ডবলমুরিং থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।
তিনি দাইয়াপাড়া, আছিয়া বাপের বাড়ির মো. মুছা প্রকাশ কালা বুচুইক্কার ছেলে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ডবলমুরিং এলাকার ত্রাস গোলজার চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং ডবলমুরিং থানার তালিকাভুক্ত ১ নম্বর আসামি।
চুরি থেকে শুরু করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা সে করে না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দাইয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে ১টি দেশিয় তৈরি পাইপগান, ১ রাউন্ড গুলি ও ১০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
হাতে হাতুড়ি, পকেটে পিস্তল
গোলজার সবসময়ই পকেটে পিস্তল ও হাতে হাতুড়ি রাখে। যখন তখন যাকে তাকে গুলি করে সে। ২০১৮ সালে ডিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে টিপু ও সগীরকে গুলি করে গোলজার। ২০১৩ সালে পুলিশকে লক্ষ্য করেও গুলি করে। আর কেউ তার কথার অবাধ্য হলে তাকে হাতুড়িপেটা করে। সর্বশেষ গত ১১ জুলাই দাইয়াপাড়ায় রাশেদ নামে একজনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এর এক সপ্তাহ আগে আরও একজনকে একই কায়দায় পিটিয়ে আহত করে।
গোলজারের আয়ের কোনও উৎস নেই। চাঁদাবাজি তার আয়ের প্রধান উৎস। এলাকায় দোকান থেকে শুরু করে ভিক্ষুক থেকেও চাঁদা নেয় সে। ভিক্ষুকের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে চাঁদা নেয়। চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছে সে।
ভাড়ায় অপরাধ করে গোলজার। মাত্র ২০০ টাকা দিলেই সে যে কাউকে গিয়ে মেরে আসে। বিশেষত তার এলাকাতেই এ ঘটনা ঘটায় বেশি। এলাকায় ব্যক্তি পর্যায়ে কারও সাথে বাগবিতণ্ডা হলেই গোলজারকে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সে তার স্টাইলে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়।
চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা গোলজার মূলত টেকনাফ থেকে আনা ইয়াবা খুচরা বিক্রি করে। এজন্য তার ৩ জনের একটি বিক্রয় প্রতিনিধি দলও আছে। কমিশনের ভিত্তিতে তারা গোলজারের ইয়াবা বিক্রি করে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ২টি মামলা রয়েছে।