বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ত্যাগের মহিমায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করছে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ ওইসব দেশের নাগরিকরা।
আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবার খোলা মাঠে কোনও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ফজরের নামাজ আদায়ের পরপরই দল বেঁধে ঈদের জামায়াতে অংশ নিতে ঈদগাহ ময়দানের উদ্দেশে রওনা হন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
মক্কার কাবা শরীফ, মদিনার মসজিদে নববী ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মসজিদের ভেতরে প্রথম সারিতে ঈদের নামাজ আদায় করেন সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন আমির এবং শেখরা।
হাজিরা পবিত্র মুজদালিফা ময়দানে খোলা আকাশের নিচে সারারাত এবাদত বন্দেগির পর আজ মঙ্গলবার সকালে ফজরের নামাজ আদায় করে মিনায় পৌঁছেছেন। প্রথম দিন শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করে পশু কোরবানি দিয়ে মাথা মুণ্ডন করে শেষ করবেন হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এরপর মক্কায় গিয়ে তাওয়াফে জিয়ারত শেষে আবার মিনায় ফিরে আসবেন হাজীগণ। এরপর পর্যায়ক্রমে আরও তিন দিন মিনায় অবস্থান করে শয়তানকে তিনটি পাথর নিক্ষেপ করবেন আগত হাজীরা।
মহামারি করোনাভাইরাস-এর মধ্যে সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের ৬০ হাজার নাগরিক এবারের হজে অংশগ্রহণ করেন। এসব হাজীদের মধ্যে কোনও ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ অথবা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এ ধরনের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে হাজীরা সুষ্ঠুভাবে হজ পালন করছেন বলে জানা গেছে।
তবে অবৈধ বা অনুমতিপত্র ছাড়া হজে অংশগ্রহণ করার কারণে কয়েকশ স্থানীয় এবং প্রবাসীকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটককৃত প্রবাসীরা কোন দেশের নাগরিক তা জানা যায়নি।
এদিকে মধ্যপ্রচ্যের বাইরেও ফিলিপাইন- মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে আজ। ইউরোপ আর আফ্রিকার কয়েকটি দেশেও ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।