চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় প্রেমিকাকে বশিকরণ করতে ‘ডাবপড়া’ দিতে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধূকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে মেয়েসহ গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।
সোমবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার শিলকূপ ইউনিয়নের টাইমবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম ফাতেমা বেগম (৪২)। তিনি একই এলাকার মোস্তাক আহমদের স্ত্রী। এ ছাড়া আহতরা হলেন— নিহত ফাতেমার মেয়ে পাখি আক্তার (২২), তাদের আত্মীয় রাবেয়া বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে বৃষ্টি (১০)।
এদিকে এ ঘটনায় মোহাম্মদ এহসান (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি শিলকৃপ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাইজপাড়া এলাকার ইব্রাহীমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা বেগমের কাছে এহসান ‘ডাবপড়া’ নেওয়ার জন্য আসেন। এ সময় এহসান ফাতেমাকে বলেন— আমি এক মেয়েকে ভালোবাসি। তাকে আমি পেতে চাই। কিন্তু ফাতেমা ‘ডাবপড়া’ দিতে অসম্মতি জানালে মুহূর্তেই ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত দা দিয়ে প্রথমে ফাতেমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।
পরে বাড়ি থেকে বের করে রাস্তায় দা দিয়ে ঘাড়ে, পিঠে ও মাথায় জখম করে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে আরও তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে ওই যুবক।
উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সফিউল কবির মুটোফোনে জানায়, বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নে এক মহিলাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল। মূলত ঘটনাটি ঘটেছে যে নিহত হয়েছে সে তাবিজ দিত। যে খুন করল সে তাবিজ নিয়েছিল। আজ সকালে একটা ডাবের পানি পরা নিয়ে ডাবটি কাটার জন্য দিলে তাকে উক্ত দা দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।এই ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে আহত হয়েছেন তিন জন। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাথে সাথে হত্যা কারীকে আটক করেছে পুলিশ।