কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিকাশ এজেন্টের ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুটের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব-১৫) এর একটি দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১০জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় দিকে চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলার ২নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ার জনৈক আনোয়ার হোসেনের বসতঘর থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের রবিবার দুপুরে পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলার ব্রাক্ষণ পাড়ার মৃত আব্দুর শুক্কুরের ছেলে মো. সাইফুল (৩১) এবং চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ৯নং ওয়ার্ডের নাপুড়ার রুস্তমঘাট এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে মো. কফিল উদ্দিন (২২)।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী জানান, গত ৭ জুলাই রাতে পেকুয়া উপজেলার কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের তালা ভেঙ্গে ভল্ড থেকে একদল দুর্বৃত্ত নগদ ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানার পরপরই র্যাব-১৫ এর একটি দল টাকা উদ্ধার ও জড়িতদের আটকে অভিযানে নামে। পরে শনিবার রাতে চকরিয়া থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের স্বীকারোক্তি মতে মাটির গর্ত থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় নগদ ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ধৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের নিরাপত্তাকর্মীরা রাতের খাবার খাওয়ার জন্য হোটেলে যায়। এসময় তারা হেলমেট পরে ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা ঢুকার পর বৈদ্যুতিক লাইনের তার কেটে দেন। পরে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের ভল্ড ভেঙ্গে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করেন। এরা গত তিনমাস ধরে বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের টাকা লুট করার চেষ্টা করে আসছিলো বলে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে জানান।
এএসপি শেখ সাদী আরো বলেন, রবিবার দুপুরে আটককৃতদের পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটানার সাথে জড়িত অন্যদেরও আটক করতে অভিযান চলছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।