করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ফের ১২০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের তুলনায় দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ।
শনিবার (১০ জুলাই) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ হাজার ৭৬৬ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী কমেছে প্রায় ৬৫০। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৬ জনে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২০৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় গত একদিনে মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ৩০০। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৭ হাজার ১৪৫ জন।
এদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়েছেন। ফলে দেশটিতে কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন ৪৫ হাজার ২৫৪ জন। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪৩ হাজার।
একসময় দেশটিতে ৩৭ লাখের বেশি সক্রিয় রোগী থাকলেও কমতে কমতে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী কমেছে প্রায় আড়াই হাজার। দেশটিতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩৩ জন।
ভারতে কোভিডে মৃত্যুর দৈনিক সংখ্যা জুলাইয়ের প্রথম দিনের পর শনিবারই প্রথম হাজারের গণ্ডি পার করল। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। সেই সঙ্গে সংক্রমণের দৈনিক হারও আগের দিনের থেকে নিম্নমুখী হয়েছে। গত এক দিনে দেশটিতে টিকা পেয়েছেন সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষ।
এদিকে ভারতের একাধিক রাজ্যে করোনার নতুন নতুন ধরনের সন্ধান মিলছে। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশে করোনার শক্তিশালী কাপ্পা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আবার ত্রিপুরায় একসঙ্গে সন্ধান মিলেছে ৯০টি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর। যা রীতিমতো চিন্তার।
সূত্র: এএনআই