সেই ম্যাজিস্ট্রেটকে বরিশালে বদলি

লকডাউন চলাকালীন রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসকের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ানো সেই সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মামুনুর রশীদকে বদলি করা হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাকের কার্যালয় থেকে তাকে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে তিনি দাবি করেন, আগে থেকেই বদলির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ছিল। কোনো বিশেষ ঘটনা নয়, স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই ম্যাজিস্ট্রেটকে বদলি করা হয়েছে।

লকডাউনের মধ্যে গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডে দায়িত্বরত পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে এক নারী চিকিৎসকের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ ওই নারী চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে এ বাদানুবাদ হয়।

সেই নারী চিকিৎসক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি। আর নিউমার্কেট থানা পুলিশের সহযোগিতায় সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মামুনুর রশিদ।

ভিডিওতে দেখা যায়, লকডাউন বাস্তবায়নে স্থাপিত চেকপোস্টে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট ডা. জেনির কাছ মুভমেন্ট পাস বা মেডিকেলের পরিচয়পত্র আছে কি-না দেখতে চান। কিন্তু তিনি জানান, সেটা তখন তার কাছে নেই। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘ডাক্তারের আবার মুভমেন্ট পাস! আমি আইডি কার্ড নিয়ে আসি নাই।’

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি প্রশাসনের লোক। ইউনিফর্ম থাকার পরও সঙ্গে আইডি কার্ড আছে।’ তখন চিকিৎসক বলেন, ‘আমি ডাক্তার। গায়ে অ্যাপ্রন আছে। আপনি মেডিকেলে চান্স পাননি বলে পুলিশ হয়েছেন।’

পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তুই-তোকারি করেও সম্বোধন করতে থাকেন তিনি। পরে চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img