আলোচনায় সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানালেন হেফাজত মহাসচিব সম্প্রতি চট্টগ্রাম, বাহ্মণবাড়িয়া, সোনারগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া সহিংসতার সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা জড়িত নয় দাবি করে সংগঠনটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো, মাদরাসায় হামলা ও তৌহিদি জনতাকে উস্কানি দেওয়ার পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করুন।
এ ঘটনার সঙ্গে কোনো তৃতীয় পক্ষ যদি জড়িত থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি সরকারকে বলেন, আপনারা ওই তৃতীয় পক্ষকে তদন্ত করে বের করুন। এতে আমরাও সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ। তারপরেও অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা সমূহের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ক্ষেত্রে হেফাজতের নেতাদের আরো সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিলো বলে আমরা মনে করি। আগামীতে হেফাজতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এসব ক্ষেত্রে আরো সতর্ক থাকবে ইনশা’আল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে সম্মতি জানিয়েছেন হেফাজতের সিনিয়র নায়াবে আমীর আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, হেফাজতে উপদেষ্টা দেওনার পীর অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাজিদুর রহমান ও আবুল কালাম।
নুরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন যাবত গণহারে হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তার করছে প্রশাসন। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি জুনাইদ আল হাবীব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মামুনুল হক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, খোরশেদ আলম কাসেমী, সাখাওয়াত হুসাইন রাজী, জালালুদ্দীন আহমদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমীন, কেন্দ্রীয় সহ অর্থ সম্পাদক ইলিয়াস হামিদী, কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক শরীফুলাহ, ঢাকা মহানগর সহ সভাপতি মাওলানা যুবায়ের আহমদসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়োছে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে জানতে চাই, কেনো তাদের গ্রেপ্তার করা হলো। তারা তো কোনও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বরং তারা বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা আমরাও চাই, আপনারাও চান। আমরা কোনোভাবেই চাই না যে, দেশের মধ্যে অশান্তি তৈরি হোক। তাই আসুন আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কোনও সমস্যা থাকলে তার সমাধান করি।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে বলবো, কোথাও যদি কোনও সমস্যা হয়ে থাকে কিংবা হেফাজতের কর্মসূচিতে তৃতীয় কোন শক্তি যদি সুযোগ নিয়ে থাকে, অথবা কেউ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে থাকে, তাহলে সরকার তাদের খুঁজে বের করুক। আমরা সরকারকে এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আসুন এই পবিত্র রমজান মাসে গণ-গ্রেপ্তার বন্ধ করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজি। সমস্যা যত বড়ই হোক, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান বের করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ। হেফাজতের মধ্যেও যদি কেউ অপতৎপরতা চালায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যাবস্থা নেবো ইনশাআল্লাহ।