লিটন দাস যেন খেলার ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সময়টা তার ভাল যাচ্ছিল না। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জ্বলে উঠলো এই উইকেটকিপারের ব্যাট। দারুণ খেলছিলেন। একসঙ্গে হাতছানি দিচ্ছিল দুটি মাইলফলকের। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি, সেইসঙ্গে জিম্বাবুয়ের মাটিতে প্রথম কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি।
কিন্তু থেমে গেল লিটনের ব্যাট। মাত্র ৫ রানের জন্য তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারটা ছুঁতে পারলেন না লিটন দাস। ৯৫ রানের মাথায় হার মানতে হয় তাকে। আউট হওয়ার আগে লিটন ১৪৭ বলে ১৩ চারে করেন ৯৫ রান।
ঠিক তার পরের বলেই শূন্যতে সাজঘরের পথ ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৭৪ রান।
হারারে টেস্টে প্রথম সেশনের চেয়ে দ্বিতীয় সেশনটা অপেক্ষাকৃত ভালো কেটেছিল বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে ২৩ ওভারে ৭০ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল টাইগাররা। দ্বিতীয় সেশনেও বাংলাদেশ হারিয়েছে ৩ উইকেট। অর্থাৎ, হারারে টেস্টের প্রথম দিনের চা বিরতির আগে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৬ উইকেট। সে পর্যন্ত সফরকারীদের স্কোর ছিল ৪৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান।
দ্বিতীয় সেশনে টানা দুই ওভারে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম আর সাকিব আল হাসান আউট হন। পরে হাফসেঞ্চুরিয়ান মুমিনুলও সাজঘরে ফিরেছেন। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর লিটন দাস হাল ধরেন এরপর।
ষষ্ঠ উইকেটে তারা মাত্র ৩৫ রান যোগ করলেও কাটিয়ে দিয়েছেন ১৩ ওভার। বাংলাদেশও তাই বিপদ অনেকটা সামলে উঠেছে। ৬ উইকেটে ১৬৭ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় সফরকারিরা।
হারারে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়েতে টেস্ট খেলতে যাওয়া সাইফ-শান্তরা যেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই শূন্য রানে আউট হয়ে যান সাইফ। এরপর মাত্র ২ রানে আউট হস নাজমুল হোসেন শান্তও।
এরপর শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক মুমিনুল হক হাল ধরেন দলের। তাকে সঙ্গ দেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের রান সংগ্রহ বাড়তে থাকে।