মহামারী করোনা পরিস্থিতির জন্য দেশে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। চলমান এই কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন দেশ তথা সব শ্রেণি পেশার মানুষের উপরই কি সমান প্রভাব ফেলবে?
নাকি যে কোন এক শ্রেনি তথা নিম্ন আয়ের মানুষের উপর খরগ হিসেবে নেমে আসবে?
সেই বিষয়েই লিখেছেন আমাদের এক পাঠক। দৈনিক দিনেরখবর সব সময়ই পাঠকের মতামত কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এবং সেই সাথে এটাও বলে রাখা জরুরি, এই মতামতটি শুধুই পাঠকের নিজস্ব চিন্তা।
কোভিট মোকাবেলা
শব্দটা সরকার তথা লোক মুখের বুলি হয়েই থেকে যাবে না তো?
প্রতিষেধক হিসেবে সরকার শুধু লগডাউনকেই বেছে নিয়েছে কিনা!
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত হয়তো আমাদের দেশ ও বিভিন্ন মেয়াদে এর থেকে মুক্তি লাভের উপায়-আন্ত বেড় করার চেষ্টা চালাচ্ছে, অথচ আমরা জানিই না!
একের পর এক লকডাউন কি কোন সমাধান?
তারমধ্যে লকডাউন তো কারো জন্য পৌষ মাস আর কারো জন্য সর্বনাশ ।
দেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন, কিন্তু দেশের “এ” ক্লাস ব্যবসায়ীর কথাই এখানে আগে চলে আসবে। কারখানা খোলা, ব্যাংক খোলা, নিজস্ব পরিবহনে চলছে যোগাযোগও!
আবার পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে পরিবহন ব্যবসায়ীরা ৬০% অতিরিক্ত ভাড়া পাবে, বিনিময়ে এক সিট ফাঁকা!
এরা সবাই সেই সকল ব্যবসায়ী, যারা একই সময় সংসদ নেতা, নীতিনির্ধারক, সমাজসেবক, বুদ্ধিজীবী আরো কত কি!
হ্যাঁ একটা বিষয় ঠিক ম্যানেজমেন্ট ইজ এ প্রসেস। এই প্রসেস কে ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না। তাই কারখানা বন্ধ রাখা যাবে না । আমি এর পক্ষে ।
তবে দেশের যারা কিছুটা তুলনামূলক ছোট ব্যবসায়ী, তাদের বিষয় গুলো কেন প্রাধান্য পাবে না?
কেন ব্যবসায়ের সিজন গুলো এভাবে পাড় করতে হচ্ছে?
তাদেরকেও কিছু সুযোগ করে দেন, এই যেমন রাত ১২ টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার সুযোগ ।
পাঠাও চালক, সি এন জি, অটো রিকশা যা গরিবের প্রাইভেট কার। এদের চলাচলের অনুমতি দিয়ে দেন ।
আপনি ভাবছেন তাহলে আর কই রইল লকডাউন? এমনিতেও সকলেই এই নিম্ন মানের লকডাউন কে, যা খুশি তাই বলছে,তখন না হয় আরেকটু বেশি বলবে!
যে যাই বলুক না কেন, ঘরে বসে থেকে কোভিট জয় করা অসম্ভব।
দেশের মেধা সম্পদ এমনিতেই অব্যবহৃত থেকে যায়।আর যে সকল মেধা সুযোগ পায়, তা আবার তাদের কাছে উপেক্ষিত রয়ে যায়। অনেকেই বলে সেই যুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যার পর দেশে আর কোন বুদ্ধিজীবী তৈরি হয় নি। কথাটা কি আসলেই সঠিক?
নাহ আমি যানি না। আবার হতেও পারে!
যে যেভাবেই নেক, সরকারের নীতিনির্ধারকদের উচিত সময়ের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার।
যাতে দেশ তথা সমাজ, জীবন-জীবিকা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলতে থাকে।
এটাও একটা প্রসেস, ঠিক ম্যানেজমেন্ট এর মতই।
নুর মোহাম্মদ
নাভানা গ্রুপ
জুনিয়র এক্সজিকিউটিভ (একাউন্ট)
কুষ্টিয়া ডিভিশনাল অফিস।