চীনের দ্রুত পারমাণবিক বাহিনী গড়ে তোলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে অস্থিতিশীল করে তোলার ঝুঁকি কমানোর ব্যাপারে বাস্তবিক পদক্ষেপ নিতেও বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান।
নেড প্রাইস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘পারমাণবিক বাহিনী গড়ে তোলার বিষয়টি লুকিয়ে রাখা চীনের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে এবং দেশটি তাদের কয়েক দশকের পরমাণু কৌশল থেকে বিচ্যুত হচ্ছিল।’
ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে নেড প্রাইস বলেন, ‘চীন তার পশ্চিমাংশে মরুভূমিতে শতাধিক মিসাইল সাইলো বা মাটির নিচে ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ রাখার স্থান গড়ে তুলেছে। এই প্রতিবেদন নির্দেশ করে, চীনের পারমাণবিক অস্ত্রাগার আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং আগে যে অনুমান করা হয়েছিল, তার থেকেও বেশি।’
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর তথ্য অনুযায়ী, স্যাটেলাইট চিত্রে ১০০টির বেশি নির্মাণাধীন ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার দেখা গেছে। মরুভূমিতে এই সাইলো নির্মাণ করছে চীন। এ ব্যাপারে নেড প্রাইস বলেন, ‘এই অস্ত্রাগার গড়ে তোলা উদ্বেগজনক। এর মাধ্যমে চীনের ইচ্ছা কী, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পারমাণবিক ঝুঁকি কমাতে আমাদের বাস্তবিক পদক্ষেপ জোরদারের গুরুত্ব বহন করে। আমরা বেইজিংকে আমাদের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ঝুঁকি কমানোর ব্যাপারে বাস্তবিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র আরও বলেন, গত ১ জুলাই কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বক্তব্য ‘নোট’ করেছে ওয়াশিংটন। কিন্তু ওই বিষয়ে ওয়াশিংটন কোনো মন্তব্য করেনি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চীনা প্রেসিডেন্ট বিদেশি শক্তিগুলোকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন।
শিং জিনপিং বলেন, ‘কেউ চীনের ওপর বলপ্রয়োগ করতে চাইলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। চীনকে কেউ দমিয়ে রাখতে চাইলে তার মাথা ঠুকে দেওয়া হবে।’ এ ছাড়া ওই অনুষ্ঠানে তাইওয়ানকে একীভূতকরণের কথাও বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
এন-কে