চট্টগ্রাম নগরীতে কঠোর লকডাউনে বদলে গেছে দৃশ্যপট। এই লকডাউনেও রাস্তাজুড়ে রিকশা থাকলেও নেই যাত্রী! এ যেন ‘রাজ্য আছে, রাজত্ব নেই’ পরিস্থিতি।
ব্যবধানটা মাত্র কয়েকদিনের। এর মধ্যেই বদলে গেছে চিত্র। সীমিত পরিসরের লকডাউনে সব গণপরিবহন বন্ধ ছিল। রাস্তাজুড়ে ছিল রিকশা আর রিকশা। ভাড়াটাও আদায় করেছেন তারা ইচ্ছেমতো।
সরেজমিন মহানগরীর চেরাগির মোড়, আন্দকিল্লা, লালদীঘি মোড়, কোতোয়ালী, নিউমার্কেট, আমতল মার্কেট, কাজির দেউড়ি, লালখান বাজার, ওয়াসা মোড়, জিইসি, দু’নম্বর গেট ও মুরাদপুর এলাকা ঘুরে অভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।
যাত্রী সংকটে ভুগতে থাকা অনেক রিকশাচালক এখন রাস্তায় অলস সময় কাটাচ্ছেন। নগরীর প্রধান রাস্তার পাশাপাশি বিভিন্ন অলিগলির সামনেও রিকশা চালকদের দেখা গেছে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে। পাশ দিয়ে কেউ যেতেই একাধিক রিকশা চালক আগ বাড়িয়ে জানতে চান, কোথায় যাবেন।
অপরদিক যাত্রী মোস্তাক আহমেদ চট্টগ্রাম নিউজকে জানান, আমি এখন রেয়াজউদ্দীন বাজার থেকে এসেছি ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে, এখন রাস্তায় যাত্রী কমে যাওয়ায় চালকেরা ভাড়া কমাতে বাধ্য হয়েছেন। এখন যাত্রীর চেয়ে রিকশার সংখ্যা বেশি।
রিকশাযাত্রী আবেদিন নাঈমুন চট্টগ্রাম নিউজকে বলেন, আমি চকবাজার থেকে চেরাগির মোড় আসতে প্রতিদিন গুণতে হতো ৮০ টাকা। আর এখন কঠোর লকাউনে আসা-যাওয়ায় দিতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। ভাড়া আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এখন যাত্রীর চেয়ে রিকশার সংখ্যা বেশি।
কয়েকজন রিকশা চালক জানান, রাস্তায় রিক্সার তুলনায় মানুষ কম হওয়াতে ভাড়া তেমন হয় না। আর অনেক দৈনিক কাজ করে এমন কিছু চালক এখন রিক্সা চালাচ্ছে, তাতেও কিছু ভাড়া কমে গেছে।
রিকশা চালক শহিদুল আলম বলেন, এর আগের লকডাউনে দিনে হাজার টাকার উপরে আয় করেছি। কিন্তু বর্তমানে সারাদিনে ৫০০ টাকা তুলতেই কষ্ট হচ্ছে । রাস্তায় আগের তুলনায় যাত্রী নেই।
এর আগে সোমবার (২৮ জুন) সকাল থেকে সারাদেশে শুরু হয় সীমিত লকডাউন। বন্ধ ছিল সব ধরনের গণপরিবহন। গণপরিবহন বন্ধের সুযোগে রিকশা যাত্রীদের গুণতে হয়েছিল দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া। এ নিয়ে যাত্রীদের মাঝে ছিল ক্ষোভ। ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাকবিতণ্ডের ঘটনাও ঘটে। বর্তমান বাড়তি ভাড়ার চিত্র নেই, নেই যাত্রীদের সেই অভিযোগ। এ অবস্থায় যাত্রীরা কিছুটা স্বস্তিতে আছেন।