সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে তৃতীয় দিনে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিধিনিষেধ মেনে না চলায় ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪৫ মামলায় ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
শনিবার (০৩ জুলাই ) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নয়জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এ সময় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে না চলায় বিভিন্ন দোকান , রেস্টুরেন্ট এবং শপিং মলে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ড প্রদান করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ কে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনে সচেতন করা হয়।
অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় ৫ টা মামলায় মোট ১৮শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। কাজির দেউরী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আশরাফুল হাসান, তিনি ৭ টি মামলায় ১ হাজার ৫০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন । অন্যদিকে খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইনামুল হাসান, এ সময় তিনি ২ টি মামলায় ১হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এহসান মুরাদ, এ সময় তিনি ৪ টি মামলায় ২৭শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। সদরঘাট ও কোতোয়ালি এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাজিব হোসেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫ টি মামলায় ১৬শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন পাহাড়তলি ও আকবরশাহ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬ টি মামলায় ৩হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। অন্যদিকে চাদগাঁও এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস, তিনি ৭ টি মামলা দায়ের করে ৭ হাজার ৮শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। হালিশহর এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রতীক দত্ত, এ সময় তিনি ৫ টি মামলায় ২ হাজার ৭শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পাশাপাশি ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪ টি মামলায় মোট ২১শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া হক।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।