গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯ হাজার ১৭৯ জন। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ১৮ লাখ। অন্যদিকে গত এক দিনে মারা গেছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ। ফলে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার।
এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ভারতে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে ব্রাজিল নেমে গেছে দ্বিতীয় অবস্থানে।
সোমবার (২৮ জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ হাজার ৯৬০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় দেড় হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৭ জনে।
আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫৫ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ১৮ লাখ ৬১ হাজার ২৬৮ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ১৯ হাজার ৪২৪ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭২৫ জন। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার ৫৯৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫৪৪ জনের।
অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৮১ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬১ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৭ লাখ ৭০ হাজার ২১ জন, রাশিয়ায় ৫৪ লাখ ৫১ হাজার ২৯১ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৭ লাখ ৩২ হাজার ৪৩৪ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯ জন, তুরস্কে ৫৪ লাখ ৯ হাজার ২৭ জন, স্পেনে ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ৪৬৩ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭২ জন এবং মেক্সিকোতে ২৫ লাখ ৩ হাজার ৪০৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১০ হাজার ৯৬৮ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৩৩ হাজার ২৮২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ১০০ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৪৭২ জন, তুরস্কে ৪৯ হাজার ৫৭৬ জন, স্পেনে ৮০ হাজার ৭৭৯ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৩১৩ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।