ওরা ৭ জন, তাদের টার্গেট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেরে ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ী। শহরসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় মোটর সাইকেল ও সিএনজি অটোরিক্সার গতিরোধ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পথচারী ও যাত্রীদের জিম্মি করে সর্বস্ব কেড়ে নেয় এই চক্র। ঠিক তেমনি নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ পশ্চিম গেটের পাশে ডাকাতির পরিকল্পনাকালে এই চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের দেহ তল্লশি করে ১টি দেশীয় এলজি ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি স্টীলের টিপ ছোরাও উদ্ধার করা হয়।
২৫ জুন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বায়েজিদ থানার বার্মা কলোনীর আমানত আলীর ছেলে মো. আরমান আলী (২৩), পটিয়া থানার হাবিলাশ দ্বীপের মো.বাবুলের ছেলে মো. রফিকুল আলম (২৩) ও বায়েজিদ থানার বালূছড়া এলাকার মৃত মো. আলীর ছেলে মো.আবু (২৬)।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ এলাকা ডাকাতির পরিকল্পনা করা সময় ধাওয়া দিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও ৪ ডাকাত পালিয়ে যায়।
ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা, তারা ৭ জন পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য, চট্টগ্রাম শহরসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় মোটর সাইকেল ও সিএনজি অটোরিক্সার গতিরোধ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পথচারী ও যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নেয় । তাদের মধ্যে একটি গ্রুপ ছিনতাই এবং ডাকাতি সংঘটন করে ও অপর গ্রুপ মোটরসাইকেল দিয়ে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়। ছিনতাই ও ডাকাতি শেষে তাৎক্ষনিক মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত মো. আরমান আলীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দ্রুত বিচার আইনে ১টি মামলা রয়েছে।
পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় ২টি পৃথক মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এন-কে