করোনা প্রতিরোধে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: সিভিল সার্জন

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে আমরা করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। ইদানিং জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য বিধি না মানার অভ্যাস গড়ে উঠার কারণে করোনার সংক্রমণ আবারও বেড়ে গেছে। আমরা সচেতন না হলে করোনার তৃতীয় ধাপ মোকাবেলা করা সম্ভব হবেনা।

তাই করোনা প্রতিরোধে এখন থেকে সকলের মাস্ক পরিধান নিশ্চিতসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। ঘনঘন হাত ধোয়ার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। আমরা সকলে সচেতন হলে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

আজ ২৩ জুন বুধবার বিকেল ৩টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইড ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র কেন্দ্র (ডিএসকে)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত নগরীর নিম্ন আয়ের পরিবারের কিশোরীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে-২ কেজি হুইল পাউডার, ৬টি লাইফবয় সাবান, ৬টি হুইল সাবান, ৬ প্যাকেট স্যানিটারী ন্যাপকিন ও ১টি সুফি ওয়াটার বোতল।

ডিএসকে’র ওয়াশ কার্যক্রমের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরেফাতুল জান্নাতের সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কিশোরীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ডিএসকে’র কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আবু তৈয়ব।

বক্তব্য রাখেন ডিএসকে’র পিও উজ্জ্বল শিকদার, দিলীপ নারায়ন দাস, টেকনিক্যাল অফিসার সুব্রত পাল ও কমিউনিটি মবিলাইজার মাহবুব-এ খোদা। উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার গাজী মোঃ নূর হোসেন, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর টিটু কান্তি পাল ও ডিএসকেসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ডিএসকে’র ওয়াশ কার্যক্রমের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরেফাতুল জান্নাত বলেন, ওয়াশ প্রকল্পের আওতায় ওয়াটার এইডের আর্থিক সহায়তায় ডিএসকে’র কিশোরীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমটি সমাজের সবধরণের মানুষের কাছে সাড়া ফেলেছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই ধরণের কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।

তিনি জানান, ইতোপূর্বে করোনা মোকাবিলায় ডিএসকে চট্টগ্রামে ৯৫১ জন কিশোরীকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদানের পাশাপাশি ৩৮ হাজার ৯৪২টি মাস্ক, ২৫ হাজার বোতল স্যানিটাইজার ও ৩ হাজার ৩’শ জোড়া গ্লাভস প্রদান করেছে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img