দীর্ঘ ৫৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় তাকে নিয়ে আসা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এর আগে গত ৩ জুন বিকালে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে এখনো করোনা পরবর্তী বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে।পুরোপুরি সুস্থ হলেই তাকে বাসায় নেওয়া হবে।
গত ১১ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৩ মে তার শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে স্থানান্তর করা হয়। ৮ মে তৃতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ফল নেগেটিভ আসে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা তাকে বিদেশ নেওয়ার সুপারিশ করেন। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বিদেশ যাওয়ার অনুমিত চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্ত শেষ পর্যন্ত সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
এদিকে করোনা মুক্ত হলেও পরবর্তী বেশ কিছু জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। কিডনি, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা করানো হয়। মাঝেমধ্যে তার হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ওঠানামা করে। তবে তার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক জানান, বর্তমানে চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে। কিডনি সমস্যাও কমার দিকে। কিছুদিন আগে জ্বর আসলেও তা পুরোপুরি সেরে উঠেছেন।