দুর্নীতিতে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং হাওয়া ভবনের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপি’র মুখে দুর্নীতি বিরোধী বক্তব্য ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার (১৬ জুন) সকালে নিজ সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অটল রয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী,আমলা যারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর। দুদক স্বাধীনভাবে তদন্তের মাধ্যমে কাজ করছে, দলীয় অনেক এমপিরও সাজা হয়েছে, কেউই রেহাই পাচ্ছে না এবং দলীয় পরিচয়ের অনেকেই দুর্নীতির অভিযোগে জেলে আছেন। দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশী আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কোন ভাবেই মনোনয়ন পাবে না।
দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে ঢালাও ভাবে অভিযোগ না করে সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ দিতে বিএনপি’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুদকের মতে তথ্য প্রমাণের অভাবে অনেক মামলা এগুচ্ছে না। কাজেই ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে এবং অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে আপনাদের কাছে কোনো তথ্য-প্রমাণ থাকলে, সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ দিন। দুর্নীতি করে যারা দেশ-বিদেশে অর্থ পাচার করেছে বা সম্পদ গড়েছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি’র উদ্দেশ্যমূলক ও উসকানিমূলক বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের স্বার্থের বিপক্ষে কোনো কাজ শেখ হাসিনা সরকার করেনি, করবেও না। বিএনপির শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের রেকর্ড গড়েছিলো তারা এবং তাদের শাসনামলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগও এনেছিলো বিএনপি।
গণমাধ্যমের সেই শত্রু ও নির্যাতনকারী বিএনপি আজ সাংবাদিকদের বন্ধু সেজেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের মুখোশ সবার জানা। বিভিন্ন পেশায় কর্মরতদের উসকানি দিয়ে বিদ্যমান স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় বিএনপি। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হবে না বলেও তিনি জানান।