শিক্ষা: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৫ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো। শনিবার বিকেল ৪টা থেকে দুই দফায় তারা এ বিক্ষোভ মিছিল করে। বিকেল ৪টায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ৫টায় বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ করে।
এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘যে শ্রমিকরা দিন এনে দিনে খেয়ে জীবন অতিবাহিত করছে। তাদের ওপর যে গুলি ও তাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ আজকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মানুষের নূন্যতম কোন গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। মানুষের মানবিক অধিকার নেই। আজকে কথা বলা মানে মামলা, ঘুম, কথা বলা মানে পুলিশের গুলি।’
সঞ্চালনায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সালমান সিদ্দিক বলেন, ‘শ্রমিকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হলো এটা অমার্জনীয় একটি ঘটনা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। আজকে লকডাউনের মধ্যে মানুষের জীবিকা চালানোর বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না এ রাষ্ট্র। চীনা কোম্পানির স্বার্থ দেখার জন্য আপনারা দেশের মানুষের ওপর গুলি করছে।
সভাপতির বক্তব্য ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ‘বাঁশখালীর ঘটনা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশ আজকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বিএনপির সরকার শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার করে টিকতে পারেনি, আওয়ামী লীগ সরকারও টিকতে পারবো না। পুলিশের হামলা, পুলিশ দিয়ে আক্রমণ, পুলিশ আপনাদের ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পারবেন না। এসময় আন্দোলকারীরা ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি) সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মেঘ মল্লার বসু, ছাত্র ফেডারেশনের (জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল) সভাপতি মিতু সরকার প্রমুখ।
এন-কে