নুসরাত একজন মিথ্যাবাদী: শ্রীলেখা

নিখিল জৈনের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরাত জাহান। তার কথায়, তুরস্কে বিয়ে হয়েছিল তাদের। কিন্তু সেই বিবাহ আইন অনুসারে অবৈধ। উপরন্তু হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে করা উচিত, যা এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি। ফলত, এটা বিয়েই নয়। তুরস্কের বিবাহ আইন ও ভারতে দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য বিশেষ বিবাহ আইনের যুক্তি দিয়ে সেই কথা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন নুসরাত। কিন্তু তার-নিখিলের ‘বিয়ে’ বা ‘সহবাস’-এর যুক্তি কোনোটাই দু’জনের ব্যক্তিগত স্তরে সীমাবদ্ধ নেই আর।

এবার নুসরাতের অযৈকতিক দাবি ঘিরে তাকে কটাক্ষ করলেন কলকাতা বাংলা ছবির আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তার একটি পোস্ট দেখে তেমনই প্রশ্ন জেগেছে নেটাগরিকদের। এ ছাড়া ভারতের একটি গণমাধ্যমের লাইভে এসে সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন শ্রীলেখা।

তৃণমূল সাংসদ নুসরাতের বিবৃতি প্রকাশ পাওয়ার পর শ্রীলেখা মিত্র ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘বিজেপিতে আমি এতোদিন যোগদান করিনি। বিজেপির সঙ্গে লিভ-ইন এ ছিলাম। তাই বিজেপি ছাড়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না। ইতি মুকুল রায়। শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে মুকুল রায় ও শুভ্রাংশুর রায়ের। সেই প্রসঙ্গে পোস্ট দিলেও তাতে নুসরাতকে খোঁটা দিতে ছাড়েননি শ্রীলেখা। তবে কি কোনোভাবে তিনিও অন্যকে ট্রোল করার জোয়ারে গা ভাসালেন?

ট্রোল করার অভিযোগ অস্বীকার করলেন অভিনেত্রী। শ্রীলেখার কথায়, ‘আমি সত্যি কথা বলেছি। আমি মনে করি, একজন জনপ্রতিনিধি যদি অসততার আশ্রয় নেন, তা হলে সেটা অনুচিত। সেই প্রসঙ্গে আমার পোস্ট। নুসরাতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি ভাবি না। কিন্তু এখন তাকে আমি কেবল একজন অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে পারছি না। তিনি একজন সাংসদ বটে।’

একই সঙ্গে শ্রীলেখার মতে, যদি সব গুজব সত্যি হয়, তবে ‘বিয়ে’ ছেড়ে বেরিয়ে এসে অন্য এক মানুষকে ভালবেসে তার সন্তানকে গর্ভে ধারণ করার ঘটনা প্রশংসনীয়।

শ্রীলেখার প্রশ্ন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সংসদের রেকর্ড অনুযায়ী তিনি নিখিল জৈনকে বিবাহ করেছেন। আবার এখন বলছেন, তিনি বিবাহিত নন। সে কথা আগে স্বীকার করেননি কেন নুসরাত?

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img