আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আসলেই ক্ষমতা পাগল। ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার মোহে বিএনপির নেতারা এখন মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছেন। তাঁরা দিগ্বিদিক শূন্য।
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার নিজ বাসভবন থেকে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়, তারাই দেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অভিযোগ এনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপির নেতারা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে নেমেছেন। তাঁদের চরিত্র এখন দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট। দেশের মানুষ বিএনপির নেতাদের সম্পর্কে বেশ ভালো করেই জানে। তাঁদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিই একের পর এক দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কিত করছে। বিএনপিকে নির্বাচনে বিজয়ের গ্যারান্টি দিলে নির্বাচন কমিশন তাদের ভাষায় নিরপেক্ষ, আর তাদের পক্ষে রায় দিলেই বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিএনপির নেতাদের অপরাধ ও দুর্নীতির বিচার না করলে দুদক ভালো। তারা নিজেরই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্ব সভায় সম্ভাবনাময় দেশ।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষ পালন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে কারা তাঁকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, দেশবাসী তা জানে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারা হামলা এবং এর পৃষ্ঠপোষক এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কারা জড়িত, তা ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট হয়েছে।
বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারা যতই অস্বীকার করুক, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তোষণ নীতি থেকে বের হতে পারবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৩-১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে এর দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে বিএনপি। বিএনপি নিজেদের অপকর্ম ও ব্যর্থতা আড়াল করতে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো বিএনপির পুরোনো অভ্যাস।