স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারী দীর্ঘায়িত হলে ব্যাহত হওয়া শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজছে সরকার। তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এক্ষেত্রে, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বিকল্প সহায়ক হতে পারে।
স্পিকারের সাথে আজ সংসদ ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যেও প্রসার, কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন কার্যক্রম, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনার মধ্যেও সংসদে বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে সরকার সুশৃঙ্খলভাবে কোভিড ভ্যাক্সিন প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বর্তমানে ভ্যাক্সিনের আরো চাহিদা বিদ্যমান। কোভিডকালীন অর্থনীতিতে বৈশ্বিক মন্দা বিরাজ করলেও বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক রাখতে সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে বাংলাদেশের সাথে পঞ্চাশ বছরের কূটনৈতিক সুসর্ম্পকের ধারাবাহিকতা স্মরণ করে বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলা করে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগসমূহ সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রথম পর্যায়ে কোভিড ভ্যাক্সিন প্রদান কার্যক্রম বাংলাদেশ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হ্যারি ভ্যারওয়ে।
স্পিকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে নেদারল্যান্ডের ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।