চট্টগ্রামে সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দিনব্যাপী থেমে থেমে চলা এই বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নগরীর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরাতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে মাইকিং। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বসতি স্থানান্তর প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে।
আজ রোববার (৬ জুন) নগরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং ও বসতি স্থানান্তরে অভিযান পরিচালনা করছেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী এবং কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইনামুল হাসান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে নগরের ফিরোজশাহ কলোনির ঝিল এলাকার ১০-১২টি পরিবারকে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়েছে। মতিঝর্ণা এলাকার লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শহীদনগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এছাড়াও চান্দগাঁও এলাকার মিয়ার পাহাড় এলাকায় সকাল থেকেই চলছে মাইকিং। স্বেচ্ছাসেবকরা দুর্গতদের সরিয়ে নেয়ার কাজ করছেন। ওই এলাকার রশিদিয়া মাদরাসাকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কাট্টলী সার্কেলের অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইনামুল হাসান বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় আজ সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক পাহাড়ি বসতি স্থানান্তরে মাইকিং শুরু করেছি। ফিরোজশাহ কলোনির ঝিল এলাকার ১০-১২টি পরিবারকে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং চলছে।’
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- জেলার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।