কাতার বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইয় চলছে দোহায়। সেখানে সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার বাংলাদেশের রিমন হোসেন। তার বয়স ১৬ বছর। লেফটব্যাক পজিশনে খেলেন এই তরুণ। জাতীয় দলে এবার নিয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন রিমন। এশিয়া অঞ্চলে মিরন সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার।
এটা শুনে খুশি হলেও এই খেলোয়াড়ের মনে আছে একরাশ দুঃখ। মনের মধ্যে চাপা আছে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা। কীভাবে দুঃখটাকে শক্তিতে পরিণত করতে হয়—সেই মানসিক শক্তিটাকে সঞ্চয় করিয়ে দিয়েছেন তার মা। পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ নেই রিমনের। প্রথম বছরেই বোনকে হারিয়েছে। আর পরই হারিয়েছেন বাবাকে। মা-ই এখন পথ চলার শক্তি, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। মাত্র দুই বছর ফুটবলের বড় আসরে খেলেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলা কঠিন। তবে এই কঠিন কাজটি সহজ করে দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন। এবার নিয়ে দুই বছর হলো রিমন বসুন্ধরা কিংসে খেলছেন।
রিমন খেলতেন আক্রমণভাগে। অস্কার তাকে নিয়ে এলেন রক্ষণভাগে। আরেক ডিফেন্ডার সুশান্তের সঙ্গে আরও এক জন ডিফেন্ডার থাকলে লাইনআপটা মজবুত হয়। একদিন রিমনকে দায়িত্ব দিলেন কোচ অস্কার। প্রথম দিনের অনুশীলনেই রিমন আস্থার প্রতিদান দিলেন। সেই থেকেই শুরু। দুই ম্যাচ পরীক্ষা দিয়েই এ বছর প্রায় সব ম্যাচেই তাকে মাঠে দেখা গেল। অস্কার চিনতে ভুল করেননি সেটা প্রমাণ করলেন যখন জাতীয় দলে ডাকলেন ইংলিশ কোচ জেমি ডে। আফগানিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ৫ নম্বর জার্সিটা রিমনের গায়ে তুলে দিলেন। আর রিমনও আত্মবিশ্বাসী এক পারফরম্যান্স উপহার দিলেন।
আফগানিস্তানের ফুটবলারদের ঠেকানোর মন্ত্রটা কাজে লাগিয়েছেন মাগুরার ছেলে, যশোরের শামসুল হুদা ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড় রিমন। প্রথমে ঢাকায় খেলেছেন শাজাহানপুরের ফ্রেন্ডস সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ফুটবল দলে। এখান থেকে বসুন্ধরায় ঠিকানা গড়েন রিমন। ছয় জন জুনিয়র ফুটবলার নিয়েছিল বসুন্ধরা। সেখানে উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে নিজের জায়গা করেন নেন রিমন হোসেন।