ভারতে চলছে মুসলিম বাদে অন্য ধর্মের মানুষদের নাগরিকত্ব দেয়ার কাজ। এর আওতায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিমদের নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ করা শুরু হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন বিতর্কিত কাজে সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে বিজেপি নেতারা যে কোনো মূল্যে এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে সংকট আরও ঘণীভূত হওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে। এর মধ্যেই কয়েক বছর আগের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এবার বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লেগেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
দেশটিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার কাজ চলছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই তিন দেশ থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন ও পারসি সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার এক নির্দেশনা জারি হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ওইসব সম্প্রদায়ভুক্ত যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে গেছেন ও গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের ১৩টি সুনির্দিষ্ট জেলায় বসবাস করেন- তারাই আবেদন করতে পারবেন। তবে এই দফায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোকে বাদ দেয়া হয়েছে। ভারত সরকারের এ কার্যক্রমে বইছে সমালোচনার ঝড়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবেদনের পর মুসলিমদের চিহ্নিত করে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করা হবে। এতে নতুন করে ধর্মীয় অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। তবে বিজেপি নেতারা তাদের অবস্থানে অনড়।