সংসদ ভবনে খোলা তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনার মামলায় আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে মুফতি আমির হামজাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পুলিশ পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান।
আমির হামজা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান এতথ্য জানিয়েছেন।
গত ২৫ মে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় আমির হামজার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত ২৪ মে বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ডাবিরাভিটা এলাকার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হামজাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিটিটিসির একটি দল।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টারত সাকিব নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাকিবকে আটকের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সাকিবসহ আলী হাসান উসামা ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে আসামি করা হয়।
সিটিটিসি সূত্রে জানা গেছে, সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘সাকিব মোবাইল ফোনে উগ্রবাদ বার্তা সংবলিত ভিডিও প্রচারকারী আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদী জিহাদি হামলার বার্তা সংবলিত ভিডিও দেখে উগ্রবাদে আসক্ত হয়।’
ওই এজাহারে মুফতি আমির হামজার নাম ছিল। তার সূত্রে ধরেই তাকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।
এদিকে, এঘটনায় দায়ের করা মামলায় আলী হাসান ওসামা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য আল আমিন রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছে।
মুফতি আমির হামজা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের রিয়াজ সর্দারের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসীর পরিষদের কেন্দ্রিয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।