গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপি সত্য কথা বলতেও ভয় পায়। এটার জন্য তাদের উচিত ছিল, যেদিন থেকে সরকার তাদের বাইরে যেতে দেয়নি সেদিন থেকে অনশন করা।’
আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি। সংগঠনটির সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র ও গণমানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা কোন পথে’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, বিএনপি এ পর্যন্ত আসার পেছনে খালেদা জিয়ার অবদান অনেক। যখন দলের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভুগছিলেন, কোনো পথ ছিল না, তখন খালেদা জিয়া তাদের একত্রিত করেছেন। দলকে দুইবার ক্ষমতায় এনেছেন।
এ সময় অ্যাডভোকেট আবদুস সালামকে স্মরণ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বলেন, ‘তিনি রাজনীতির জন্য বা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে জীবন দিয়েছেন। এ রকম জীবন দেওয়ার জন্য ১০০ কর্মী এগিয়ে এলে আজকের অবস্থার পরিবর্তন হবে। এই নেতাকর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে একটি তহবিল গঠন করতে হবে যেখান থেকে হামলা-মামলা, চিকিৎসা ও পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া যায়।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে মন্ত্রণালয়ের তহবিল ব্যবহার করে সব জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেওয়া একটি দুর্নীতি। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা দরকার।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওর্য়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাক আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল।