গত মঙ্গলবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বাড়ি থেকে জোর করে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মহসিন কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ১ম বর্ষের ছাত্র আলমগীর ছালাম ইমনকে। বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব চরখিজিরপুর গ্রামের মোবারক আলী ফকিরের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে। বোয়ালখালীর ভূমি দস্যু খোরশেদ আলমের সন্ত্রাসী বাহিনীর কর্তৃক এই বর্বর হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
ইমন হত্যার মূল হোতা ভূমি দস্যু প্রবাসী খোরশেদ আলম ও তাঁর ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবীতে আজ শনিবার সাড়ে ১১ টার সময় সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সম্মুখে এক প্রতিবাদী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। উক্ত মানববন্ধন টি সঞ্চালনা করেন মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দীম মামুন এবং সভাপতিত্ব করেন মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন পলাশ।
মানববন্ধনে একাত্মতা জানিয়ে নিহত ইমনের বড় তানভীর সালাম বলেন, আমাদের জায়গা ভূমি দস্যু খোরশেদ আলম দখল নেওয়ার জন্য মাঝরাতে ৭০/৮০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে দেয়াল নির্মাণ শুরু করলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে তারা ফিরে যায় এবং পরে বাড়ির পাশের রাস্তায় ইমনকে পেয়ে ধরে নিয়ে যায় খোরশেদ আলমের সন্ত্রাসী বাহিনী। কিছু দূর নিয়ে ইমনকে অমানুষিক নির্যাতন করে ও পিটিয়ে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় তারা।
নিহত ইমনের বড় বোন আরো বলেন, আমাদের জায়গায় খোরশেদ আলম দখলে নিতে কয়েকবার চেষ্ঠা করেছিলো। এ নিয়ে থানায় একাধিকবার বৈঠকও হয়েছিলো। কিন্তু এতে থানা পুলিশ কোনো সমাধান দেননি। স্থানীয় সাবেক মেম্বার হাবিবের লোকজন এবারের শবে বরাতের রাতে জায়গা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণ নাশের জন্য হুমকি দিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমরা ১ ভাই, ১ বোন। আমার মা অসুস্থ প্যারালাইসড। খোরশেদ আমার বাবাকে বৃদ্ধ পেয়ে বারবার বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলো। গত মঙ্গলবার রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমি মামলার প্রধান আসামি খোরশেদ আলম সহ সকল আসামিদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করে সবার ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুল করিম।