সীমান্ত বন্ধ, মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও সীমান্ত বন্ধ রেখে গাজাবাসীর ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে তেল আবিব। মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন ফিলিস্তিনিরা।

পবিত্র আল আকসা মসজিদ দখল বন্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্স জানায়, সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর টানা ১১ দিন বোমাবর্ষণ ও বর্বর হামলার পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও দখলদারিত্ব মনোভাব বজায় রেখেছে ইসরায়েল। সরাসরি বোমা দিয়ে না হলেও সীমান্ত বন্ধ রেখে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের দমানোর চেষ্টায় ব্যস্ত তেল আবিব।

গাজার সবগুলো সীমান্তই ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। তাই সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সব ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ মুহূর্তে বিধ্বস্ত গাজার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খাদ্য ও চিকিৎসা। ইসরায়েলের কঠোর মনোভাবের কারণে তা বন্ধ রয়েছে। এমনকি আহত ও অসুস্থরা আগে পশ্চিম তীরের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে পারলেও সীমান্ত বন্ধ থাকায় এখন তাও পারছেন না।

ফিলিস্তিনিরা বলছেন, আপাতত যুদ্ধবিরতি হলেও সীমান্ত বন্ধ রেখে মূলত ইসরায়েল তাদের ওপর অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে।

তারা বলেন, সীমান্ত বন্ধ থাকায় কয়েকদিনের মধ্যে এখানকার মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এরইমধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব আরও বেড়ে যাবে।

ফিলিস্তিনিরা আরও বলেন, ইসরায়েল চাইছে আমরা যেন ওষুধ ও খাবার না পাই। কোনো কারণে লকডাউন যদি আরও ১০ কিংবা ২০ দিন বাড়ানো হয় আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ হবে বলে জানান তারা।

শুধু গাজাতেই নয় জেরুজালেমে বসবাসরত আরবদের ভূমি দখলে মত্ত ইসরায়েল। তেমনি এক আরব পরিবারের ভূমি দখলের বিরুদ্ধে ইসরাযেলের একটি আদালতে বুধবার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ভুয়া দলিল দিয়ে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখলের অভিযোগ আনা হয়। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এদিন আদালতের বাইরে বিক্ষোভ করেন অনেকে।

ফিলিস্তিনিদের ওপর দফায় দফায় ইসরাইলের আগ্রাসী আচরণের কারণে শুধু গাজায় নয় ওই অঞ্চলে বড় সড় জাতিগত যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়েহিয়ে সিনওয়ার। পবিত্র আল আকসা মসদিজ ও ফিলিস্তিনিদের শেখ জারাহ বসতির ওপর ইসরাইলি বর্বরতা বন্ধে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে কূটনৈতিক মিশনের অংশ হিসেবে মিশর, জর্ডান সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে, গাজায় সহায়তা পৌঁছানোর ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও ফিলিস্তিনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসে কাছে যেন আন্তর্জাতিক সাহায্য সহযোগিতা না পৌঁছায় সেদিকে জোর দিয়েছেন তিনি।

এর আগে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল সিসির সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img