ইউরোপা লিগের ফাইনালে সব দিক থেকেই পিছিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল। কেউ হয়তো ভাবেওনি ম্যানইউকে হারিয়ে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার সেরার মুকুট মাথায় তুলবে স্প্যানিশ ক্লাবটি। ম্যাচ শেষে তারাই গড়ল দারুণ এক ইতিহাস।
গোটা ম্যাচে ছিল রোমাঞ্চ, সেটা শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায়। তাতে প্রিমিয়ার লিগের সফলতম ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ৯৮ বছরের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবার বড় কোনো শিরোপা জিতল ভিয়ারিয়াল।
বুধবার রাতের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হলে অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ায়। এই সময়েও গোল করতে পারেনি কোনো দল।
পোল্যান্ডের গোডাইন্সকে এদিন উপস্থিত ছিল প্রায় ১০ হাজার দর্শক। ফাইনালের উত্তেজনা তাতে জমে ক্ষীর হয়ে যাবারই কথা। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে থাকে ইউনাইটেড। একের পর এক আক্রমণ করলেও সেসব রুখে দেয় ভিয়ারিয়ালের গোল রক্ষক।
ইউনাইটেড আক্রমণ করলেও ম্যাচের ২৯ মিনিটে প্রথম শটেই গোল পেয়ে যায় ভিয়ারিয়াল। দানি পারেহোর ফ্রি-কিকে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মরেনো।
বাকি সময়ে আর গোল না হওয়ায় প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয় ইউনাইটেড। তাতে সাফল্য আসে ৫৫তম মিনিটের মাথায়। কর্নার থেকে আসা বল ডি-বক্সের বাইরে থেকে মার্কাস র্যাশফোর্ডের শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে ছয় গজ বক্সের সামনে পান কাভানি। তবে র্যাশফোর্ডের শট ঠেকাতে গোলরক্ষক আগেই এক পাশে ঝাঁপ দেওয়ায় ফাঁকা জালে বল পাঠান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।
এরপর আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল, অতিরিক্ত সময়েও না। তাই ম্যাচ গড়ায় ট্রাইবেকারে।
টাইব্রেকারে দুই দলই ১০টি করে শট নিলে প্রতিটি শটই লক্ষ্যভেদ করে। তাই ১১তম স্পট-কিক নেয়ার দায়িত্ব পড়ে দুই দলের গোলরক্ষকদের কাঁধে। প্রথমে ভিয়ারিয়ালের গোলরক্ষক রুলি গোল করার পর ইউনাইটেডের গোলরক্ষক দাভিদ দে গেয়ার শট আঁটকে দিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক।