রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদান এবং স্বদেশে প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ জোরালো ভূমিকা পালন করে যাবে। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে আলোচনাও অব্যাহত থাকবে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সভাপতি ভলকান বজকির আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব মন্তব্য করেছেন। কক্সবাজারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামশুদ দৌজা এই তথ্য জানান।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় আকাশপথে কক্সবাজারে আসেন ভলকান বজকির। এরপর তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প চারে যান। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নানা সমস্যার কথা শুনেন। রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করেন বলে বৈঠকে উপস্থিত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান।
এ সময় ভলকান বজকির রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে তিনি বালুখালী ৮ ডব্লিউ ক্যাম্পের ওয়াচ টাওয়ার থেকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর যান বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প নয়ে, তুরস্ক সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের জন্যে পরিচালিত ২২ মার্চের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তুর্কি হাসপাতাল পরিদর্শনে। সেখানে পুনঃনির্মিত হাসপাতালের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনকালে তিনি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্যে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের ভূয়সী প্রশংসা করেন বলে জানান বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে জাতিসংঘের মহাসচিবের পর সাধারণ পরিষদের সভাপতির এ সফর কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণেও এ সফর ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।