সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পাওয়ায় নেত্রকোনায় আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা। নেত্রকোনা শহরের চকপাড়া কোর্ট স্টেশন থেকে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে মিছিলটি বের হয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে। এসময় নানা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো শহর। প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি ছোট বাজার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফউদ্দিন খানের বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি।
এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক যুবনেতা রনি বলেন, আমি নিজে জেল,গুম, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন ও বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি বিগত হাসিনা সরকারের মেয়াদে। বাবর ভাই দীর্ঘ ১৭ বছর কারাগারে অন্তরিন থেকে আগামী বৃহস্পতিবার মুক্তির পর মুক্ত বাতাসে বের হবেন আশা করি। আমরা নেত্রকোনা থেকে কয়েক লাখ লোক ঢাকার কেরানিগঞ্জ কারাগার গেট থেকে ফুলের মালা দিয়ে বাবর ভাইকে বরন করব ইনশাল্লাহ।
চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলার যাবজ্জীবন সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছিল। দুটিতেই খালাস পেলেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দুর্নীতি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের (দুই মামলা) মতো ঘটনায় করা মামলায় দণ্ডিত হয়েছিলেন। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে খালাস পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর।
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৫৮ সালের ১০ অক্টোবর নেত্রকোণার মদনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে প্রথমবার তিনি নেত্রকোনা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০০১ সালে লুৎফুজ্জামান বাবর ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে কারাবন্দী তিনি। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। যার মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়, একটিতে হয় যাবজ্জীবন দণ্ড।
এমজে/