ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানো পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেয়া হলে তা ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেঈমানি করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করা ফ্যাসিবাদের দোসর শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেন গণকবরে পরিনত করেছিলো।
প্রশাসনে এখনো অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। পুলিশের মাঠ পর্যায়ের রদবদল প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ জন পুলিশের উপ-পরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেয়া হচ্ছে খবর পাচ্ছি। এরা কেউ-ই নিরপেক্ষ নন। তারা সবাই হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২’শ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এই সব পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে।
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান সফলে ছাত্র-জনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিও দেখিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিল, ‘স্যার একজন মরে, আরো দুইজন দাঁড়িয়ে যায়।’ এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেয়া হলে তা ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেঈমানি করা হবে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, যে পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে, সেই সব পুলিশ কিভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুলিশের ২০০ এস আই কিভাবে এখনো হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে? এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, প্রশাসনের এসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তা ছাড়া শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক পারভেজ রেজা কাকন, উত্তরের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আমিনুল হক, এস এম জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমজে/