ঢাকা, ২২ আগস্ট ২০২৪:
বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ছিলেন বঞ্চিত। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এখনও বঞ্চিতই রয়ে গেলেন। কোন এক কারণে এবারও তার পদোন্নতি আটকে গেলো । অন্তর্বর্তী সরকার কেন তার পদোন্নতি ঠেকিয়ে দিল, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গত ২০ আগস্ট রাতে এসকে তাসনিম আফরোজ ইমি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমন অভিযোগ করেছেন।
পোস্টে বলা হয়- ২০১৭ সালে তিনি উপ পরিচালক হিসেবে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে যোগদান করেন। কাওরান বাজার ও অন্যান্য খোলা বাজার ছাড়াও ফ্যাশন ব্র্যান্ড আড়ং, এসআলম গ্রুপ, অফিসার্স ক্লাব এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তিনি আলোচিত হন। এই সময় তার বদলির আদেশ আসে। জনতার প্রতিবাদের ভিত্তিতে প্রশাসন একপ্রকার চাপে পড়ে তখন তার বদলির আদেশ বাতিল করে।
প্রমোশন আটেকে যাওয়ার রহস্য জানানো হয়েছে ওই পোস্টে। বলা হয়েছে যে-তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে তার ব্যাচের প্রমোশনের কথা হয়, তখন তার এক সহকর্মী তার বিরুদ্ধে কিছু একটা অভিযোগ দিয়ে দেন। অভিযোগটি করা হয় প্রমোশন ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাবার ঠিক দুইদিন আগে।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, অভিযোগের ফলে তার প্রমোশনের ফাইলটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তদন্ত হওয়ার পরে তদন্ত রিপোর্টসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাবার কথা। কিন্তু সে ফাইল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত ছাড়াই সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এতেই সমস্যা দেখা দেয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পরে অন্যায়ের শিকার অনেকেই পদোন্নতি পেয়েছেন। তবে মনজুর শাহরিয়ারের পদোন্নতি আটকে যাওয়া দুঃখজনক বলছে অনেকেই।
কারণ হিসেবে তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের (ডি পি) কথা বলা হয়েছে। এইরকম ঘটনার মিল পাওয়া যায় বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর।পুলিশ ভেরিফিকেশনের ঠিক আগে আগে সুপারিশপ্রাপ্তের নামে ফৌজদারি মামলা হয়ে যায়। এর ফলে প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের পদোন্নতি যেন অন্যায়ভাবে আটকে না থাকে সেটাই জনগণের প্রত্যাশা। প্রশাসনের উচিত দ্রুততম সময়ে বিষয়টি আমলে নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে তার পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।