কুমিল্লায় টেন্ডার ছাড়াই সড়কের গাছ কর্তন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাংবাদিককে ঘুষ দিতে ইউপি চেয়ারম্যানের চেষ্টা!

শাহাদাত কামাল শাকিল :
কোন ধরণের টেন্ডার বা দরপত্র ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও অনৈতিকভাবে রাস্তার দুই ধারে বেড়ে উঠা বিশাল আকৃতির অন্তত ১০টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজের কার্যালয়ের ভিতরে
সরাসরি নিজেই সাংবাদিককে ঘুষ দিতে চেষ্টা করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন ২নং উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নায়িমুর রহমান মজুমদার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, সড়কের দুই পাশে বেড়ে উঠা গাছগুলো প্রায় ৫০ থেকে ৭০ বছর আগের। ফলে গাছগুলো অনেক লম্বা ও মোটা। রাস্তার কাজের জন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় সুযোগ বুঝে একটি একটি করে প্রায় ১০টির মতো গাছ কেটেছে। কিছু গাছ ইউনিয়নের সামনেও রাখা হয়েছে। বুধবার সন্ধায় ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মিয়াবাজার টু মানিকপুর এলাকায় সরেজমিনে গেলে গাছ কাটার বিষয়টি উঠে আসে। এ সময় কিছু গাছ ইউনিয়নের সামনে ও কিছু গাছ রাস্তার পাশে স্থানীয় একটি স মিলের ভিতরে দেখতে পাওয়া যায়। তবে কর্তনকৃত গাছের ডাল-পাতা গুলো আশপাশে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমের সদস্যরা যখন সরেজমিনে উপস্থিত তখন চেয়াম্যান নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজের পরিষদে ডেকে নিয়ে যান সাংবাদিকদের। এরপর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিকভাবে গাছ কাটার অপরাধ স্বীকার করে নিউজ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধও জানান তিনি। একপর্যায়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজের চেয়ার ছেড়ে সাংবাদিকদের ঘুষ দিতে বার বার জোরালো চেষ্টা করেন তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো: শাহীন আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানি এবং ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি। চেয়ারম্যান আবেদন করেছিলো ইউএনও স্যারের কাছে আগে, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ছিলো। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ার আগেই গাছগুলো কাটায় আমি যাওয়ার পর ৩টি গাছ জব্দ করে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রেখে আসছি। এখন অপরাধ করে ফেলেছে এটা ঠিক কিন্তু কি আর করার! চায়ের দাওয়াত রইলো, চৌদ্দগ্রামে আসলে আমার অফিসে আসিয়েন। এ বিষয়ে জানতে বুধবার সন্ধায় ঘটনাস্থল থেকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় আবারও এ বিষয়ে ইউএনও এর কাছে জানতে “তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন কি না এবং এ বিষয়ে তিনি কোন ব্যবস্থা নিবেন কি না এ বিষয়ে তার সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোন উত্তর দেননি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img