কোটা ইস্যুতে আদালতের আদেশ না মেনে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালালে শক্ত হাতে দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া/শোক মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে হোসাইনী দালান ইমামবাড়ীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। কোটা সংস্কার সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। সুতরাং আদালত যে আদেশ দেবেন সেই আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং মেনে নেওয়া প্রতিটি নাগরিকের একান্ত কর্তব্য। আদালতের নিয়ম মানতে সবাই বাধ্য। পুলিশ যে সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে সেটি শ্রদ্ধা রেখে হবে।
তিনি বলেন, কেউ আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালান যেই হোক তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।
এ সময় তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে অতীতের জঙ্গিবাদের ঘটনাকে মাথায় রেখে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ইমামবাড়াগুলোতে ইন্সট্রুমেন্টাল চেকিং, ডগ স্কোয়াড চেকিং-সুইপিং সবকিছুই সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে যারা এখানে প্রবেশ করবেন তাদের আর্সওয়ে এবং অন্যান্য সুইপিংয়ের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। ইমামবাড়ার কাছের উঁচু ভবনগুলো থেকে মনিটরিং করা হবে। সেখানে পুলিশ থাকবে সিভিলে এবং ইউনিফর্মে। তাজিয়া মিছিলের সামনে-পেছনে এবং ডানে-বামে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মিছিলের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ থাকবে।
হাবিবুর রহমান বলেন, মিছিলে যারা অংশগ্রহণ করবে আমরা তাদের অনুরোধ জানিয়েছি, তারা যাতে ছুরি, চাকু বা দাহ্য পদার্থ নিয়ে না আসেন। যেহেতু মিছিলে পতাকা নেওয়ার বিধান আছে; সেটি যাতে বেশি উঁচু না হয় সে ব্যাপারেও সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
আশপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা আশপাশে তল্লাশি চালিয়েছি। সিভিল পোশাকে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের সদস্যরা রয়েছে এবং ইউনিফর্মে থাকবে।
এমজে/