আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে বিধি মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, কোটা নিয়ে গতকাল (বুধবার) আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের আর কোনো অবকাশ নেই। আমরা অনুরোধ করব, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আর নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি দেবেন না, অন্তত এই চার সপ্তাহ। এরপরও যদি আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সবশেষ বুধবার (১০ জুলাই) তৃতীয় দিনের মতো বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির ডাক দিয়ে রাজধানী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। দিনভর চলা এ অবরোধ কর্মসূচিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল ঢাকা। আজও (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে অর্ধদিবস বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে এভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, চলমান আন্দোলনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে পুলিশ। বুধবার কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছে আপিল বিভাগ। এরপরও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কোটাবিরোধীরা। তাই বিষয়টি এবার ভিন্নভাবে দেখা হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সবশেষ ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হবেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মৎস্য ভবন, মিন্টু রোড, কাটাবন ও চানখারপুল অবরোধ করবেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এমজে/