বুড়িচং উপজেলার রামনগর গ্রামে গত ২০শে জুন আনুমানিক রাত ৩ টার সময় মান্নান মার্কেটের (নুরু মিয়া) নামের এক ব্যক্তির দোকানে চুরি হওয়ার সময় গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে চোরদের ধাওয়া করলে ৩ জন পিক-আপ রেখেই পলিয়ে যায় এলাকাবাসি সেই পিক-আপ ভ্যান আটক করে । সে দিন সকালেই পুর্বহুড়া গ্রাম থেকে চোর চক্রের সদস্য পিক-আপ ভ্যানের ড্রাইভারকে ধরতে সক্ষম হয় এলাকাবাসি। চোর সদস্যর একজন বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের মৃত হাফিজ মিয়ার ছেলে (আরিফুল ইসলাম বাপ্পি ) তাৎখনিক রামনগর ও ইছাপুরা গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড এর মেম্বার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের খবর দেয়া হয়। সকালে ওয়ার্ড মেম্বারের উপস্থিতিতে চোর সদস্য ড্রাইভার বাপ্পিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় জগৎপুর গ্রামের শামসুল অলম মোল্লার ছেলে (আশিক) ছিলো চোরচক্রের একজন যে কিনা পালিয়ে যায় সে দিন রাতে, তার বাড়ি জগৎপুর ,বাপ্পি আরো জানায় চুরির সাথে এলাকার লোকও জড়িত আছে তবে তার নাম বলতে পারছেনা, দেখলে চিনবে বলে জানায় । পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে এলাকাবাসী চোর সদস্যকে নিয়ে সন্দেহ ভাজন একজনকে দেখাতেই চোর নিজ মুখে স্বীকারোক্তি দেয় এই ছেলেটি (রুবেল) চুরি করতে সাহায্য করেছে। রুবেল রামনগর চরপাড়া গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে । তাৎক্ষণিক পুলিশ কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মো: নুরুল ইসলাম, রুবেল ও বাপ্পি কে গ্রেফতার করে থানা হাজতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে খবর নিয়ে জানা যায় প্রায় চার বছর আগে নুরু মিয়ার দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ফার্নিচার ব্যবসা করেছেন রুবেল, এক পর্যায়ে ইয়াবা বিক্রী করার সময় দোকান থেকে ধরা পরার কারনে এলাকাবাসি দোকান থেকে বিচার সালিশ করে উচ্ছেদ করে দেয়। পরে রুবেল নুরু মিয়ার দোকান ছেড়ে একটু সামনে এসে আরেকজনের দোকান ভাড়া নেন । রুবেলের নামে শত শত চোরাই মোবাইল বিক্রির অভিযোগ রয়েছে, এ নিয়ে অনেক বিচার সালিশ বসেছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।এই বিষয় নুরু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নুরু মিয়া জানায় আমার দোকানে এ নিয়ে ৪ বার এর মত চুরি হয় এবং এলাকার আরো দোকানেও কিছু দিন পর পর চুরি হচ্ছে । এলাকাবাসি জানায় চুরির মামলা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চাচ্ছেন রুবেল। নুরু মিয়া জানায় রুবেলকে জেল হাজত থেকে ছাড়িয়ে আনতে প্রভাবশালী একটি মহল থেকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, রুবেল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব -পরিকল্পনা করে আমার দোকানে চুরি করিয়েছে । প্রশাসনের কাছে আমি সহ এলাকাবাসী এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি ।