আদালতের নির্দেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে নির্মিত ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক’-এর রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার রাতে আদালতের পার্কটি জব্দের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী পার্কের যাবতীয় কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানানো হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের সামনে মাইকিং করে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা যৌথভাবে এ ঘোষণা দেন। এ সময় উল্লাস করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জেলার উপপরিচালক মো. মশিউর রহামন, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদকের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সন্ধ্যার পর গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি টিম ওই পার্কে প্রবেশ করে। এরপর তারা বেনজীর ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয়।
গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত ও সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হবে। এরপর থেকে আয়-ব্যয়সহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় পার্কের সব কার্যক্রম চালু থাকবে এবং দর্শনার্থী প্রবেশে কোনো বাধা থাকবে না।’
এদিন পার্কের কারণে জমি হারানো মানুষ ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জড়ো হন। তারা আনন্দ-উল্লাস করেন। স্থানীয় ভুক্তভোগী বাদল (৫০) বলেন, ‘ডিসি স্যার পার্কের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা অনেক খুশি। আমরা আশা করি, এখন থেকে সরকারি রাস্তা দিয়ে আমরা আমাদের জমি ও পুকুরে যেতে পারব। আমাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী এই রাস্তা দিয়ে সহজে বহন করতে পারব।’
এমজে/