রাজধানীতে অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। কয়েক দিন ধরে চলা অভিযানে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার করা ৩৬০টি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব গাড়িতে অবৈধভাবে পুলিশ, মন্ত্রণালয় ও সাংবাদিকের স্টিকার লাগানো ছিল। এসব স্টিকার ব্যবহার করে নানা জায়গায় যাওয়ার সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া ফিটনেস না থাকায় তিন হাজারেরও বেশি গাড়ির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকার মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
অভিযানের পর দুই হাজার গাড়িকে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে। এসব অভিযান পরিচালনা করা হয় ঢাকার ট্রাফিকের আট বিভাগে।
আজ রোববার (৫ মে) সকালে এসব বিষয় জানান ডিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, আমরা মূলত অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। ঢাকার আটটি ট্রাফিক বিভাগ একযোগে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে। যারা এসব অবৈধ স্টিকার ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা এসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে স্টিকার ব্যবহার করছেন তাদের অনুরোধ করব এসব থেকে বিরত থাকার জন্য। পুলিশ, বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রণালয় ও সাংবাদিকের আত্মীয়রা এসব পরিচয়ে তাদের গাড়িতে অবৈধভাবে স্টিকারগুলো ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক দিনে ৩৬০টি যানবাহনের বিরুদ্ধে শুধু এসব অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহারের কারণে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ইদানিং লক্ষ করছি ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করছে। যদিও এটা আমাদের প্রতিদিনের কাজের অংশ। বিশেষ অভিযানে এগুলোকেও আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক ফিটনেটবিহীন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আর এই ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে।
ডিএমপির ৮টি বিভাগের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ট্রাফিক রমনা বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৪০টি মামলা করেছে। ৭৪টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮৮টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ১৬৪টি মামলা করেছে। ৪৬টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মেহেদী হাসান বলেন, সম্প্রতি চলমান তাপপ্রবাহে কর্তব্যরত ট্রাফিক, সাধারণ মানুষ, পথচারী, রিকশাচালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের একটু স্বস্তি দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে সুপেয় পানি ও খাওয়ার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে।
এমজে/