প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতির ঘটনা প্রবাহের দিকে সংশ্লিষ্টদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইসরাইলে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের যে বাস্তবতা তৈরি হচ্ছে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে বলেছেন। এই সংঘাতের কী প্রতিক্রিয়া হবে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এই ঘটনায় যার যার খাত, সবাইকেই প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বাণিজ্য কিংবা অর্থনীতির কথা সুনির্দিষ্ট করে বললেন নি। সবাইকেই প্রস্তুতি নিতে বলেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। এ ক্ষেত্রে যাতে কোনো কিছু রিঅ্যাকটিভ না হয়, বরং প্রোঅ্যাকটিভ হতে বলেছেন। যেমন, তেলের দাম বাড়লে সেই প্রভাব মোকাবিলায় আমরা কী করবো, সেই বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারান। মৃতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনা কর্মকর্তাও। এই হামলার পেছনে ইসরায়েলের হাত ছিল বলে অভিযোগ তেহরানের। তারপর থেকেই ইসরায়েলকে লাগাতার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল ইরান।
গত শনিবার রাতে প্রথমবারের মতো সরাসরি ইরান থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় তেহরান। এ হামলায় অবশ্য তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কারণ ইরানের ছোড়া ৯৯ শতাংশ ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র আকাশে ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল ও আমেরিকা।
এমজে/