বাংলাদেশে সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুকের এবারের সফরে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সই হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রাজার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ভুটানের ট্রাভেল ট্যাক্স বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি স্পেসিফিকভাবে আলোচনা করিনি। এগুলো হচ্ছে ওয়ার্কিং লেভেলের আলোচনা। মূলত বিবিআইএন-এ জয়েন করার বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।
আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনটি সমঝোতা চুক্তি হবে এবং একটি চুক্তি নবায়ন হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমাদানি চুক্তি সই হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলবিদ্যুৎ চুক্তি এই যাত্রায় সই হবে না। কারণ আমাদের আরেকটু কাজ করতে হবে। কবে আমরা আশা করছি খুব সহসাই সেটি আমরা সই করতে পারব।
জলবিদ্যুতের মাঝখানে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের ওপর দিয়েই তো লাইন আসতে হবে। ভারত কিন্তু নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে ফ্যাসিলিটেড করেছে, সুতরাং ভুটান থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে এটাই স্বাভাবিক।
ভুটানে যাতায়াতের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর বিষয়ে দেশটির রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভুটান প্রথম দেশ যারা বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আগেই আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল। ভুটান থেকে আমরা জলবিদ্যুৎ আনছি। সে বিষয়টি আলোচনা করেছি। আমরা এরই মধ্যে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। সেক্ষেত্রে ভারত আমাদের ফ্যাসিলেটেড করেছে। ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আনার ক্ষেত্রেও ভারত আমাদের ফ্যাসিলেটেড করবে। আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কুড়িগ্রামে ভুটানকে একটি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা দিয়েছি। একই সঙ্গে তাদের বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল)-এ তাদের আবার জয়েন করার বিষয়টি আলোচনায় এনেছিলাম। তিনি (রাজা) বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে শুনেছেন। এয়ার কানেকটিভিটি আরও বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেছি। কারণ সপ্তাহে মাত্র দুটি ফ্লাইট চলাচল করে। ভুটান অত্যন্ত সুন্দর দেশ। আমরা রাজার বিয়ের অনুষ্ঠানেও ছিলাম। গত বছর যখন তিনি বাংলাদেশের উপর দিয়ে অন্য কোনো দেশে যাচ্ছিলেন তখন আমি বিমানবন্দরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেশ কয়েকবার আমি ভুটানে গিয়েছি। ভুটান অত্যন্ত সুন্দর দেশ, থিম্পু অত্যন্ত সুন্দর শহর। গেলে মনে হবে এটি ইউরোপের একটি শহর। যে একবার যায় সে বারবার যেতে চায়। সেজন্য আমি কানেকটিভিটি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। মানুষ যাতে সড়ক পথে যেতে পারে, বিবিআইএনের দেশগুলোর নাগরিকরা গাড়ি নিয়ে যেতে পারে, সে নিয়েও আলোচনা করেছি।
এমজে/