রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত, দায়ীদের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দায়ের করা পৃথক পৃথক রিট আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে।
জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া তানজিনা নওরিন এসার বড় ভাই ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব তুষ্টির করা রিটটি হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য রয়েছে।
অন্যদিকে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দের করা রিট আবেদন ও অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনার রিট আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় রয়েছে।
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোববার (৩ মার্চ) রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা। রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ও আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ ছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। একইদিন আসক, ব্লাস্ট ও বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত তানজিনা নওরিনের পরিবারের এক সদস্য পৃথক আরেকটি রিট দায়ের করেন। ওই রিটে রুল চাওয়ার পাশাপাশি নিহত ব্যক্তিদের পরিবার-আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এমজে/