দুবাই গালফ ফুড ফেয়ারে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সাড়া

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ‘গালফ ফুড’ ফেয়ারে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। প্রায় ১০৭ মিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ পাচ্ছে মেলায় অংশ নেয়া বাংলাদেশি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বিষয়টিকে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ইতিবাচক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার শেষ হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলা। এবারের মেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ক্রেতাদের কাছ থেকে গতবারের তুলনায় খুব ভালো সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি কোম্পানির কর্মকর্তারা। মেলায় অংশ নেয় খাদ্য উৎপাদন, বিপণন ও পরিবেশনের সঙ্গে যুক্ত ১৯০ দেশের সাড়ে পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বাংলাদেশের ছিল ৪১টি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশি কোম্পানির মধ্যে ছিলো বসুন্ধরা ফুড ও বেভারেজ। আফ্রিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি,গ্রীস, এশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা বসুন্ধরার স্টল পরিদর্শন করে। বসুন্ধরা গ্রুপের উৎপাদিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুস, নুডলস, চা পাতা, সরিষা তৈলসহ বিভিন্ন পণ্যের ক্রয়াদেশ দিয়েছেন ক্রেতারা।

বসুন্ধরা গ্রুপের এক্সিকিউটিভ, এক্সপোর্ট পোষন আন্তনী রোজারিও বলেন, নতুন নতুন দেশের ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে। প্রচলিত পণ্যের সঙ্গে নতুন পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। গতবার থেকে এইবার অনেক বেশী সাড়া পেয়েছি। সামনে ব্যবসা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি। রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এটা যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আরও ছিল, প্রাণ এগ্রো, আকিজ এসেনশিয়ালস, হবিগঞ্জ এগ্রো,ওয়েল ফুড, এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোং, টিকে ফুড, প্রাণ ফুডস, গ্লোব বিস্কুট অ্যান্ড ডেইরি মিল্ক, ফেভারিট লিমিটেড, এএসটি বেভারেজ, আজলান এগ্রো, ফুডস,বনফুল এন্ড কোং, নিউজিল্যান্ড দুগ্ধজাত পণ্য, বাংলাদেশ লিমিটেড, কিষোয়ান স্ন্যাকস, দেশবন্ধু ফুড, লিলি এগ্রো, আকিজ বেকার্স, ডেনিশ ফুডস, কাজী ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস, এইচআইএফএস এগ্রো ফুড, স্কয়ার ফুড, বোম্বে সুইটস, আহমেদ ফুড, মাসুদ এগ্রো প্রসেসিং ফুড, এনা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, আন্তর্জাতিক বিতরণ কোম্পানি, রূপসী ফুডস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সিটি অটো রাইস, এস এন্ড বি নাইস ফুডস, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড, মেঘনা বেভারেজ, বঙ্গজ লিমিটেড, হাসেম ফুডস, স্টার লাইন ফুডস। এবারের মেলায় প্রচলিত পণ্যের পাশাপাশি নতুন পণ্যের সম্ভার তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো।

মেলার তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শন করেন আরব আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবু জাফর। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের আরবরা কি পছন্দ করছে সে দিক মাথায় রেখে আগামীতে কিছু প্রোডাক্ট প্রদর্শন করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যে যত বেশি বৈচিত্র্য আনতে পারবে, ততই রপ্তানি বাড়বে আরব দেশগুলোতেও। কি কি ঘাটতি রয়েছে, এটি আমাদের কিভাবে ইম্প্রুভ করার সেদিকে নজর দিতে হবে বলে জানান তিনি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন বিগত বছরের তুলনায় ক্রয়াদেশ বেড়েছে তবে মেলায় স্থান সংকুলন নিয়েও ছিল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। শেষদিনও বায়ারদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন ব্যবসায়ীরা। বহির্বিশ্বে বড় প্রদর্শনীগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা, গুণগত মান যাচাই ও রপ্তানি চাহিদা তৈরিতে সক্ষমতা বাড়ছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img